মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন। এ ছাড়া, যারা এখনো নাগরিকত্ব পায়নি তাদের জন্য ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করা হবে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন তিনি। যা পুরো বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাগ্রহণ, চাকরি ও উন্নত জীবনের খোঁজে পাড়ি জমান।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা লিখেন। তবে তিনি কোন প্রক্রিয়ায় অভিবাসন স্থগিতাদেশ কার্যকর করবেন, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর প্রশাসনের জারি করা আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো আদালত ও কংগ্রেস- উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
গতকাল ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলি করেন এক আফগান নাগরিক। তিনি আফগানিস্তানে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও সিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে যখন তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সেনাদের ওপর গুলির ঘটনার পর পুরো অভিবাসন ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে। এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, “প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা অনেক এগিয়েছি ঠিকই। কিন্তু ভুল অভিবাসন নীতির কারণে এসব অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে অনেক মানুষের জীবনব্যবস্থা কঠিন হচ্ছে।”
“আমি ঠিক করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থাকে আবার ঠিক হওয়ার সুযোগ দিতে তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী আসা পুরোপুরি বন্ধ করে দেব।”
“এছাড়া জো বাইডেনের আমলে অবৈধভাবে ঢোকা লক্ষ লক্ষ মানুষের থাকার অনুমতি বাতিল করে দেব। ঘুমন্ত বাইডেন এসব লোককে অবৈধভাবে এনেছেন। ”
“যারা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কাজে আসে না, বা যারা আমাদের দেশকে মন থেকে ভালোবাসতে পারে না, তাদের সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
“দেশের বিদেশি নাগরিকদের সমস্ত সরকারি সুবিধা ও আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা হবে। যেসব বিদেশি আমাদের দেশের শান্তি নষ্ট করবে, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।”
“যেকোনো বিদেশি, তিনি যদি দেশের বোঝা হন, নিরাপত্তার জন্য বিপদের কারণ হন, বা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারেন, তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।”
এই সবের মূল লক্ষ্য হলো—অবৈধভাবে আসা ও সমস্যা সৃষ্টিকারী মানুষের সংখ্যা অনেক কমানো। বিশেষ সুবিধায় যারা বেআইনিভাবে ঢুকেছে, তারাও এর মধ্যে পড়বে।”
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থার উন্নতির জন্য অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন, “এই অবস্থা পুরোপুরি ঠিক করার একমাত্র উপায় হলো অভিবাসীদের আবার নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।”












